এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও-ফরাজী পাড়া আর রামুর পাহাড়ী ইউনিয়ন ঈদগড় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে আর পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে চলাচলের রাস্তা সমূহে ভেঙ্গে যায়। যার ফলে উক্ত সড়ক দিয়ে জন চলাচল করতে পারলেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাতে করে গুরুত্বপূর্ণ এই দু’সড়কের হাজার হাজার লোকজন চলাচলে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে। সেই সাথে শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ীসহ কর্মজীবি লোকজন চরমভাবে বিপাকে পড়েছে। লোকজন প্রতিনিয়ত যানবাহন নিয়ে নানা কষ্ট আর দূর্ভোগ মাথায় নিয়ে যাতায়াত করে যাচ্ছে। ঈদগাঁও ঈদগড় সড়কের ইসলামাবাদ গজালিয়া পয়েন্টে একটি ব্রীজ আদৌ পরিপূর্ণ নির্মিত না হওয়ায় চলাচলে এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে পথচারীরা জানান।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, জেলার ক্রাইম সড়ক খ্যাত ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কটি দীর্ঘকাল ধরে এই করুন অবস্থায় রয়েছে। এমনকি অসংখ্য ঈদগড়-বাইশারীর লোকজন জেলার দ্বিতীয় বানিজ্যিক নগরী খ্যাত ঈদগাঁও বাজারে আসতে নানা ভাবে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। পাশাপাশি ঈদগাঁওর মানুষজন হরেক রকম কাজে কর্মে ঈদগড়ে যাতায়াত করতেও নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে।
অন্যদিকে ভাঙ্গনের ফলে যানবাহন চালকরাও সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাজ থেকে। এদিকে উক্ত সড়কের পানের ছড়া নামক স্থানে প্লাবিত পানির তোড়ে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে যান চলাচল করতে পারছে না। সড়কের দু’দিকে ভাঙ্গা রাস্তা পেরিয়ে গাড়ি পাল্টিয়ে প্রয়োজনীয় কাজকর্মে যেতে হয় বলে জানান অনেকে।
ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে মানুষজনের যাতায়াতের দূর্ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা বানিজ্য থমকে গেছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর দাবী করেন তারা।
অন্যদিকে পোকখালী, জালালাবাদের ফরাজী পাড়া হয়ে ব্যস্ততম বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের সাথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে আর উজান থেকে পাহাড়ী ঢলের পানিতে রাবারড্যাম পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের ফলে লরাবাক সহ প্রধান সড়কের নানা স্থানে ভেঙ্গে গেছে বড় পরিসরে। যার ফলে অতি কষ্টের বিনিময়ে নানা কাজেকর্মে ছুটে যাওয়া লোকজন পায়ে হেটে চলাচল করতে পারলেও কিন্তু ছোট বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাতে করে ওই সড়কের কর্মজীবি লোকজন সহ সর্বশ্রেণি পেশার মানুষজন নিদারুন কষ্টে রয়েছে। তবে উভয় দিকের শত শত লোকজন দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়েছে চলাচলের ক্ষেত্রে। সে সাথে এ এলাকার যোগাযোগ সড়ক জুড়েই বড় বড় খানাখন্দকে ভরপুর বললেই চলে। মুমুর্ষ রোগী হলেতো কথায় নেই। এভাবে চলছে এসব এলাকার অসংখ্য মা-বোন। তাই দ্রুত সময়ে জনগুরুত্বপূর্ণ ঈদগাঁও ফরাজী পাড়া আর ঈদগড় যোগাযোগ সড়ক সংস্কার করে জন ও যানচলাচল স্বাভাবিক করার পাশাপাশি বিশাল এলাকাবাসীকে কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট। উল্লেখ্য যে, জালালাবাদে ভাঙ্গনকৃত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে এসেছিলেন- জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তপক্ষের চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।